জার্মানিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নতুন সুখবর: দক্ষ বাংলাদেশিদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ

বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ জার্মানি সম্প্রতি তাদের অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশগুলোর দক্ষ কর্মীদের জন্য জার্মানিতে কাজের সুযোগ আরও সহজ হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে দক্ষ কর্মীরা এবার সহজে ওয়ার্ক পারমিট পেতে পারবেন

নতুন ওয়ার্ক পারমিট নীতির মূল বৈশিষ্ট্য:

১. স্কিল ওয়ার্কার স্ট্র্যাটেজি:

জার্মান সরকার “Skilled Immigration Act 2024” অনুযায়ী এখনো বেশ কিছু ঘাটতি পেশার জন্য বিদেশি কর্মীদের আহ্বান করছে। যেমন:

আইটি ও সফটওয়্যার

ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

নার্সিং ও কেয়ারগিভার

হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ম্যানেজমেন্ট

নির্মাণ ও টেকনিক্যাল সেক্টর

২. সহজ শর্তে আবেদন:

আগে যেখানে জার্মান ভাষায় দক্ষতা (B1 লেভেল) আবশ্যক ছিল, এখন অনেক ক্ষেত্রে ইংরেজিতেই আবেদন করা যাচ্ছে। কিছু নির্দিষ্ট সেক্টরে জার্মান ভাষা না জানলেও আবেদন সম্ভব।

৩. ব্লু কার্ডের সুবিধা:

উচ্চ বেতনের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রয়েছে EU Blue Card, যার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি বসবাস ও পরবর্তীতে স্থায়ী নাগরিকত্বের সুযোগ পাওয়া যায়।

৪. পরিবারসহ অভিবাসনের সুযোগ:

এই ভিসার আওতায় আবেদনকারীরা তাদের স্ত্রী/স্বামী ও সন্তানদের সাথেও জার্মানিতে বসবাস করতে পারবেন। পরিবার সদস্যরাও সেখানকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।

৫. ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ:

নতুন নিয়মে ৪ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই ভিসার সিদ্ধান্ত পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইনে আবেদন ও প্রক্রিয়া অনেকটাই ডিজিটাল।

কে আবেদন করতে পারবেন?

বয়স: সাধারণত ১৮-৪৫ বছর

অভিজ্ঞতা: অন্তত ২ বছরের প্রাসঙ্গিক চাকরির অভিজ্ঞতা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রাসঙ্গিক ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি

ভাষা: ইংরেজি অথবা জার্মান ভাষায় যোগাযোগের সক্ষমতা

চাকরির অফার: জার্মান নিয়োগদাতার কাছ থেকে অফারলেটার আবশ্যক

আবেদনের ধাপসমূহ:

১. চাকরির খোঁজ: জার্মানিতে নিয়োগদাতা খুঁজে পাওয়া (চাইলে EURES বা LinkedIn ব্যবহার করতে পারেন)
২. ডকুমেন্ট তৈরি:

পাসপোর্ট

শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতার সনদ

ভাষা সনদ (যদি থাকে)

সিভি ও কভার লেটার
৩. ভিসা আবেদন: অনলাইনে আবেদন জমা ও দূতাবাসে ইন্টারভিউ
৪. ভিসা প্রসেসিং ও অনুমোদন
৫. জার্মানিতে যাত্রা ও চাকরিতে যোগদান

বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুবিধা:

বাংলাদেশ জার্মানির সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় শ্রমশক্তি পাঠানোর জন্য কাজ করছে। এতে করে সরাসরি জব অফার বা ট্রেনিংসহ যাওয়ার সুযোগ আরও বেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *