হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, টাঙ্গাইল জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে চলছে~দো~টা~না~
গত ২৪ মার্চ ২০২৫ সোমবার সকাল ১০ টায় ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল ধুলেরচর জামিয়া ইসলামিয়া আশরাফুল উলুম মিলনায়তনে জেলার শীর্ষ মুরুব্বি আলেম মাওলানা আবদুল আজিজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব,
বিশেষ অতিথি ছিলেন,
নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী,
যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ও
কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।
উক্ত কাউন্সিল সম্মেলনে টাঙ্গাইল জেলার শীর্ষ ওলামায়ে কেরামগনের উপস্থিতে কেন্দ্রীয় ও জেলার ওলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে
৯ জনের জেলা কমিটি গঠন করে দেয়া হয়।
১৫ দিনের ভিতরেই জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজ সাহেব,সাধারণ সম্পাদক মুফতি আশরাফুজ্জান কাসেমী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে এবং ৩ টি ইসলামী সংগঠন জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট ১টি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও।
আজ ২৩ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো তারা একত্রিত হয়ে বসার সুযোগ করতে পারেনি,
কমিটির বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে অপারগতা,
অনিহা, ঝামেলা ও ব্যস্ততা দেখাচ্ছে,
অথচ গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং,
আহবায়ক কমিটি করার পর পরই তড়িগরি করে প্রত্যেক উপজেলা কমিটি গঠন করেছিল কেন.?
সেই কমিটি বিগত আওয়ামী সরকারের কয়েক জন দোসরদের নিয়ে গঠিত হওয়ায় আন্দোলনের মুখেপড়ে কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিল করে দেওয়ার পর এখন আর এই কমিটি পুর্নাঙ্গ করার কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা,
অনেকেরই মনে প্রশ্ন কারণ টা কি.?
২৩ দিন পার হলেও এখনো বসার কোন সুযোগ পাচ্ছে না.?
অথচ প্রায় দিনই দেনদরবার মিটিং করতেছে
কওমি-ওলামা পরিষদের নামে,
গত ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ইং ধুলের চর মাদ্রাসায় মাওলানা আব্দুল আজিজ সাহেবের সভাপতিত্বে, মুফতি আশরাফুজ্জামান কাসেমী ও মুফতি আব্দুর রহমানের পরিচালনায় একটি জরুরি মিটিং এর আয়োজন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়,
টাঙ্গাইলে কওমি উলামা পরিষদের ব্যানারে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে,
এবং হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে কোন কাজ করা হবে না,যদি টাঙ্গাইলে কোন কর্মসূচি পালন করা হয় তাহলে আমরা কওমি ওলামা পরিষদের ব্যানারেই করব।
হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের কারণ কি.?
মুফতি আব্দুর রহমান সহ আওয়ামী লীগের দোসরদের প্রবেশ করাতে পারতেছেনা বিধায়,
হেফাজতের বিকল্প হিসেবে কওমি ওলামা পরিষদ
ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে,
কারণ এটাও প্রায় এক নায়ক তন্ত্র চলছে।
আগামিতে টাঙ্গাইলের জনগণ এই পরিষদকেও
দখল মুক্ত করবে ইনশাআল্লাহ।
কারণ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের করে দেয়া এই কমিটি তিনাদের মনের মত হয় নাই।
টাঙ্গাইল বাসীর প্রাণের দাবি এই রক্ত মাখা সংগঠনের নেতৃত্ব দিতে না পারেলে অপারগতা প্রকাশ করে ছেড়েদেন, কেন্দ্রকে অবহিত করে পদত্যাগ করেন।
আপনাদের নেতৃত্ব আর জনগণ চায়না
একই কমিটি সারা জীবনই থাকবে.?
আর কেউ হতে পারবে না
এটাইকি আপনাদের চাওয়া.?
এটা আর হতে দেয়া হবেনা ইনশাআল্লাহ।
তৌহিদি জনতা এটা আর কোন দিন হতে দিবে না।
আপনারা বিগত ১২ বছরে হেফাজতের ব্যানারে
কোন কর্ম সুচি পালন করতে পারেন নাই।
এটা টাঙ্গাইলের তৌহিদী জনতা অবগত আছেন।