
যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া ভাসানপাড়া গ্রাম যেন হঠাৎ করেই রূপ নেয় এক নীরব যন্ত্রণার মঞ্চে। জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবশালী নেতা খবির খাঁ ও তার অনুসারীরা ওই গ্রামের ১৪টি পরিবারকে ঘরছাড়া করে দিয়েছেন। আজ তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ঘরের চার দেয়ালই যেন অপরাধ!
ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, খবির খাঁ দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছিল এলাকা ছাড়ার জন্য। কেউ রাজি না হলে, হামলা চালানো হয়, বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়, এমনকি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ঘরে।
এক রাতেই সবকিছু শেষ—ঘর, জিনিসপত্র, বাঁচার শেষ আশাও।
নিরাপত্তাহীনতার চরম পর্যায়
শিশু, বৃদ্ধ, নারী—সবাই এখন মাঠে বসে আকাশের নিচে জীবনযাপন করছেন। নেই খাবার, পানি, চিকিৎসা বা মাথা গোঁজার ঠাঁই। প্রশাসনের ভূমিকা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের প্রশাসনিক পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
এই ঘটনায় কী বার্তা দিচ্ছে?
একটি স্বাধীন দেশে যখন একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি সাধারণ মানুষকে ঘরছাড়া করে দেয়, তখন প্রশ্ন ওঠে—
আমরা কি সত্যিই নিরাপদ?
আমাদের অধিকার কোথায়?
প্রশাসন কাদের পাশে?
এই ঘটনাটি কেবল যশোরের একটি গ্রামের নয়, এটি বাংলাদেশের মানবাধিকারের বাস্তব চিত্র।
এইসব ঘটনার বিরুদ্ধে সজাগ ও সোচ্চার হওয়া এখন সময়ের দাবি।