19 Apr 2025, Sat

ইইউ’র ৬৯ কোটি টাকা অনুদান: নিরাপদ অভিবাসন ও পুনঃএকত্রীকরণে নতুন দিগন্ত

ইইউ’র ৫০ লাখ ইউরো অনুদান: নিরাপদ অভিবাসন ও পুনঃএকত্রীকরণে নতুন দিগন্ত

ইংরেজি অনুবাদ: EU’s 5 Million Euro Grant: A New Horizon in Safe Migration and Reintegration

বর্তমানে বাংলাদেশ অভিবাসনের ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বিদেশে পাড়ি জমাইতে গেলে অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ পথে প্রবেশ করেন, যা তাদের জীবন ও ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এই প্রসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাজা এক অনুদানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে।

Most Viewed Posts

১. প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য

ইইউ’র প্রদত্ত ৫০ লাখ ইউরো (প্রায় ৬৯ কোটি টাকা) অনুদানের মূল লক্ষ্য হল:

নিরাপদ অভিবাসন: বিদেশে যাওয়ার সময় যাতে জনগণ নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল ভাবে চলতে পারে, সেই ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা।

পুনঃএকত্রীকরণ: বিদেশ থেকে ফিরে আসা অভিবাসীদের জন্য মানসিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করা, যাতে তারা সহজেই সমাজে ফিরতে পারে।

সচেতনতা বৃদ্ধি: দেশের মানুষের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসনের বিপরীতে সঠিক তথ্য ও দিশা প্রদান করা, যা তাদের নিরাপদ পথ বেছে নিতে সহায়তা করবে।

২. প্রকল্পের নামকরণ ও কার্যপ্রণালী

প্রকল্পটির নাম হলো: “Strengthening Service Delivery Systems for Improved Migration Management and Sustainable Reintegration”
(বাংলায়: উন্নত অভিবাসন ব্যবস্থাপনা ও টেকসই পুনঃএকত্রীকরণে সেবাদান ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ)

এই প্রকল্পের আওতায়:

অভিবাসন বিষয়ক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি বাড়ানো হবে।

অভিবাসীদের তথ্য, পরামর্শ এবং জরুরি সহায়তা প্রদান করার জন্য একটি সুসংগঠিত সেবা নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে।

অভিবাসী ও প্রত্যাবর্তনকারীদের টেকসইভাবে সমাজে পুনরায় সংহত করার জন্য প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান এবং মানসিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

৩. কারা বাস্তবায়নের প্রধান সংগঠক?

এই অনুদান এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের মূল সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ERD) এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) কাজ করবে। ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা এই প্রকল্পের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

৪. প্রাপ্ত অনুদানের প্রভাব ও গুরুত্ব

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ বিদেশে পাড়ি জমায়। তবে, নিরাপত্তাহীন পথে তাৎক্ষণিক ঝুঁকির মুখোমুখি হওয়া ছাড়াও, অনেকেই প্রতারণার শিকার হন। আর যারা দেশে ফিরে আসেন, তাদের পুনর্বাসন ও সামাজিক পুনঃসমন্বয়ে যথেষ্ট সহায়তা না পেলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

এই অনুদানের মাধ্যমে:

নিরাপদ অভিবাসন ব্যবস্থা: বিদেশে যাওয়ার আগে এবং তার পর সরকারের তরফ থেকে মানসম্মত তথ্য ও সেবা পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

পুনঃসংহতকরণ: অভিবাসীরা দেশের ফিরে এসে দ্রুত আবার সমাজের অংশ হতে পারবেন, যা তাঁদের আত্মবিশ্বাস ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবে।

দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন: সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে অভিবাসন নীতি ও আইন প্রণালীতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়তা করবে।

৫.

Most Viewed Posts

  1. বর্তমানে ভিক্ষুকের ইনকাম এর পরিমাণ অনেক চাকরিজীবীকেও পেছনে ফেলে দেয়। (admin) (47)

ইইউ’র এই অনুদান শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা নয়, বরং একটি নতুন আশার দিশাও প্রদান করে। নিরাপদ অভিবাসন ব্যবস্থার বিকাশ ও অভিবাসীদের টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ আমাদের দেশের জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এ উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরও নিরাপদ এবং সুসংহত অভিবাসন নীতির ভিত্তি স্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *