
সরকারি পুনর্বাসন উদ্যোগ
সরকার ভিক্ষাবৃত্তি কমাতে বিভিন্ন পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫৮টি জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল । এছাড়া, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩,০৫০ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ।
ভিক্ষুকদের আয়ের বাস্তব চিত্র
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেকেই জীবিকার তাগিদে ভিক্ষাবৃত্তিতে যুক্ত। কারো শারীরিক অক্ষমতা, কারো পারিবারিক দারিদ্র্য, আবার কারো জীবন থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলা—এই সব কারণেই কেউ কেউ এই পেশায় আসে। তবে শুনে হয়তো অবাক লাগবে, অনেক সময় এ পেশা থেকে আয়ের পরিমাণ অনেক চাকরিজীবীকেও পেছনে ফেলে দেয়!
Most Viewed Posts
- দৈনিক আয় কেমন হয়?
ঢাকা বা চট্টগ্রামের মত বড় শহরগুলোতে একজন ভিক্ষুক দিনে গড়ে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করতে পারেন। কোনো উৎসব বা ধর্মীয় দিনে এই অঙ্কটা এক হাজার টাকা বা তারও বেশি হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ:
শবে বরাত বা ঈদের রাতে কবরস্থান বা মসজিদ এলাকায় একজন ভিক্ষুক মাত্র এক রাতেই ৫,০০০-৬,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
- মাসিক গড় আয়
গবেষণায় দেখা গেছে, একজন ভিক্ষুকের পরিবার গড়ে মাসে প্রায় ১৪,০০০ টাকা আয় করে। যেহেতু এটি কর-মুক্ত আয়, তাই খরচ বাদে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা তাদের হাতে থেকে যায়।
তাহলে সবাই এই পথে আসে না কেন?
ভিক্ষাবৃত্তি খুব সহজে শুরু করা গেলেও, এটা সামাজিকভাবে অবমাননাকর ও অস্থির একটা জীবন। প্রতিনিয়ত রোদ-বৃষ্টি সহ্য করে, লোকের করুণা ভিক্ষা করে যেটুকু আয় হয়, তাতে আত্মসম্মান নষ্ট হয়। তাই অনেকেই এই পথে না গিয়ে অভাবের মধ্যেও অন্যকিছু করার চেষ্টা করেন।
সরকারের উদ্যোগ
সরকার বিভিন্ন সময়ে ভিক্ষুকদের জন্য পুনর্বাসন প্রকল্প চালু করেছে। এদের মধ্যে:
বিকল্প কর্মসংস্থান (যেমন: ছোট দোকান, হাঁস-মুরগি পালন)
প্রশিক্ষণ ও অর্থ সহায়তা
পুনর্বাসনের জন্য জমি বরাদ্দ বা ঘর তৈরি
তবে বাস্তবে এইসব প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। অনেক ভিক্ষুকই প্রকল্পের সুবিধা পান না, আবার অনেকে সহায়তা পেলেও সেই টাকা বা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন না।