২০২৫ সালে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে এসে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর পুরোনো নীতিকে আরও আগ্রাসীভাবে কার্যকর করছেন। এবার তাঁর টার্গেট – চীন। চীনা পণ্যের ওপর ১০৪% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প একদিকে রাজস্ব বাড়াতে চাচ্ছেন, অন্যদিকে বিদেশি বাজারে মার্কিন পণ্যের প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে চাচ্ছেন।
শুল্ক কী এবং কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?
শুল্ক হলো এক ধরনের কর, যা কোনো দেশ অন্য দেশের আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপ করে। এর ফলে বিদেশি পণ্যের দাম বাড়ে, এবং দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পের জন্য একধরনের সুরক্ষা তৈরি হয়।
ট্রাম্পের দাবিঃ
তিনি বলেছেন, “প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০ কোটি ডলারের মতো শুল্ক আদায় করছে।”
তবে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক গড় শুল্ক আয় ছিল মাত্র ২৫৯ মিলিয়ন ডলার।
চীনের ওপর বিশাল শুল্ক আরোপ:
৯ এপ্রিল ২০২৫ থেকে কার্যকর হওয়া ট্রাম্পের নতুন নীতিতে চীনা ইলেকট্রনিকস, স্টিল, কেমিক্যালসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর ২৫% থেকে ১০৪% পর্যন্ত শুল্ক বসানো হয়েছে।
চীনের প্রতিক্রিয়ায়, তারা মার্কিন কৃষিপণ্য ও প্রযুক্তি পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
বিশ্বব্যাপী প্রভাব:
এই শুল্ক যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে পুরো বিশ্ববাজারে:
পণ্যের দাম বৃদ্ধি
রপ্তানিতে সমস্যা
বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা
বিশ্বব্যাংক এবং IMF সতর্ক করেছে, এই ধরণের নীতি বিশ্ব অর্থনীতিকে ধীর করে দিতে পারে।
বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য প্রভাব:
রপ্তানি হ্রাস পেতে পারে
পণ্যের মূল্য অস্থিতিশীল হতে পারে
বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে
উপসংহার:
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি কি সত্যিই মার্কিন অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক? নাকি এটা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি নতুন হুমকি? এর উত্তর সময়ই দেবে, তবে বাণিজ্য যুদ্ধ এখন আর শুধু দুই দেশের মধ্যকার বিষয় নয়—এটা এখন বিশ্বব্যাপী এক চ্যালেঞ্জ।