এম মুহাম্মাদ নাজমুল হক
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই প্রতিষ্ঠানটির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলে বর্ণনা করেছে বিএসসি পিএলসি।
আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ সরবরাহে প্রতি সেকেন্ডে চার টেরাবাইট অতিক্রম করার মাইলফলক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসি পিএলসি)।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, “জুলাই মাসে দেশে বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়া কৃত্রিম উপগ্রহ-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা (স্টারলিংক) থেকে প্রাপ্ত ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযুক্তির পর এদিন বিএসসি পিএলসি এই নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছে।”
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই প্রতিষ্ঠানটির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলে বর্ণনা করেছে বিএসসি পিএলসি।
এর আগে, গত ২৮ এপ্রিল বিএসসি পিএলসি তিন টেরাবাইট/সেকেন্ড ব্যান্ডউইথ সরবরাহের মাইলফলক স্পর্শ করেছিল। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটি নতুন করে আরও এক টেরাবাইট ব্যান্ডউইথ সরবরাহে সক্ষম হয়েছে। এর আগের আট মাসে ব্যান্ডউইথ বৃদ্ধির হার ছিল ১.১০ টেরাবাইট।
বিএসসি পিএলসি বলছে, এই সাফল্যের পেছনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নীতিগত সহায়তা ও নির্দেশনা, বিএসসিপিএলসির ব্যবস্থাপনার আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং দুই দফায় ব্যান্ডউইথ মূল্যে ছাড় দেওয়ার বিষয়ি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এর ফলে দেশে ব্যবহৃত ব্যান্ডউইথে বিএসসি পিএলসির বাজার অংশীদারিত্ব বেড়েছে এবং সেইসঙ্গে রাজস্ব আদায়েও বড়ো অগ্রগতি হয়েছে। ভারতের একতরফা ইন্টারনেট নির্ভরতা হ্রাস করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিটিআরসি লাইসেন্সিং গাইডলাইন সংশোধন করে সব আইআইজি অপারেটরকে তাদের ব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের অন্তত ৫০ শতাংশ সাবমেরিন ব্যান্ডউইথ থেকে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
বিএসসি পিএলসি কিছু সুবিধা চালু করেছে। তা হল যারা তাদের মোট ব্যান্ডউইথের ৫০ শতাংশের বেশি সাবমেরিন ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত মূল্যছাড় দেওয়া শুরু করেছে।
এছাড়া, প্রচলিত ডিসকাউন্ট বাল্ক প্যাকেজের বাইরে ডেটা সেন্টার, ক্লাউড এবং ‘হাইপার স্কেলার’ গ্রাহকদের জন্য পৃথক ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করা হয়েছে।
সরকার বর্তমানে চালু সি-মি-উই ৪ এবং সি-মি-উই ৫ সাবমেরিন ক্যাবলের পাশাপাশি সি-মি-উই ৬ (SEA-ME-WE 6) এর সংশোধিত রুটে যুক্ত হওয়ার চুক্তি সম্পন্ন করেছে, যা এর মধ্যে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে।
এই নতুন সংযোগের মাধ্যমে বিএসসি পিএলসির রিয়েল-টাইম ইন্টারনেট ক্যাপাসিটিতে অতিরিক্ত ১৭ টেরাবাইট যুক্ত হবে।
