সারাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী যৌথভাবে যে অভিযান পরিচালনা করেছে, তার মূল উদ্দেশ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সামাজিক অপরাধ দমন করা। এই অভিযানে যেসব বিষয় জানা গেছে, তা নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:
অভিযান ও আটক:
গত এক সপ্তাহে (১০ থেকে ১৭ এপ্রিল ২০২৫) সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে মোট ৩৯০ জন অপরাধীকে আটক করা হয়েছে। এই অভিযান চালানো হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে অপরাধপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে।
আটককৃতদের পরিচয়:
আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে—
তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্ত
ডাকাত ও চাঁদাবাজ
একাধিক মামলার পলাতক আসামি
ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাং সদস্য
মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী
দালাল চক্রের সদস্য যারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় করতো।
উদ্ধারকৃত জিনিসপত্র:
এই অভিযানে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী উদ্ধার করেছে—
১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র
৪৬ রাউন্ড গুলি
বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা ও হেরোইন
চোরাই মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ
বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ অর্থ
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র
অভিযান চালানোর কারণ:
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা।
সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় অপরাধ নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ করা।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
আটককৃতদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
এই অভিযান সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়েছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা হিসেবে কাজ করেছে।