উত্তর কোরিয়ার অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ভেঙে পড়ায় কিম জং উনের ক্ষোভ, ‘অপরাধমূলক ব্যর্থতা’ বলে মন্তব্য

প্রকাশকাল: ২৪ মে ২০২৫
স্থান: পিয়ংইয়ং, উত্তর কোরিয়া


উত্তর কোরিয়ার নতুন ৫,০০০ টন ওজনের অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ‘চোয়ে হিয়ন’ প্রথম সমুদ্রযাত্রায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। গত ২১ মে চংজিন বন্দরে কিম জং উনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালে জাহাজটি হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে ডান পাশে কাত হয়ে পড়ে এবং আংশিকভাবে পানিতে ডুবে যায়।

দুর্ঘটনার পরপরই কিম জং উন কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “এটি শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়, এটি অপরাধমূলক ব্যর্থতা। রাষ্ট্রের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিয়ে খেলাচ্ছলে কাজ করার ফলেই এমন লজ্জাজনক পরিণতি ঘটেছে।”

কিম জং উন এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী, নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, জাহাজটির নকশা ত্রুটি, ভারসাম্যজনিত সমস্যা এবং নির্মাণে অবহেলা—সব মিলিয়ে এটি “কারিগরি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার” ফল।

নেতার তীব্র সমালোচনা ও নির্দেশনা: কিম জং উন আরও বলেন, “আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বলতা সহ্য করে না। এই জাহাজ ছিল জাতির গর্ব, তা এইভাবে ডুবে যাওয়া গোটা সামরিক ব্যবস্থার ওপর আঘাত। দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি যুদ্ধজাহাজটি আগামী জুন মাসের মধ্যেই মেরামত ও পুনঃসজ্জিত করার নির্দেশ দেন এবং এর মাধ্যমে জাতির আত্মবিশ্বাস পুনর্গঠনের আহ্বান জানান।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ: বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুর্ঘটনা উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তির বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে এবং এটি কিমের নেতৃত্বের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এই ব্যর্থতা উত্তর কোরিয়ার সামরিক আধুনিকীকরণকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।


‘চোয়ে হিয়ন’ যুদ্ধজাহাজের ডুবে যাওয়া শুধু একটি যান্ত্রিক ব্যর্থতা নয়, এটি উত্তর কোরিয়ার প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক দুর্বলতার প্রতিফলন। কিম জং উনের কঠোর মনোভাব হয়তো ভবিষ্যতের সামরিক প্রকল্পে আরও নিয়ন্ত্রণ ও কঠোরতা আনবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *