আমেরিকা-পাকিস্তান সম্পর্ক ২০২৫: উত্তেজনা, কৌশল ও পুনর্গঠনের পথ

২০২৫ সালে এসে আমেরিকা ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আবারও আলোচনায় এসেছে। দুই দেশের সম্পর্ক কখনো ঘনিষ্ঠ, কখনো উত্তেজনাপূর্ণ—এই টানাপোড়েনের মধ্যেই গড়ে উঠেছে একটি জটিল কূটনৈতিক ইতিহাস। চলতি বছরে এই সম্পর্ক নতুন মোড় নিয়েছে, যার পেছনে রয়েছে ভূরাজনৈতিক চাপ, নিরাপত্তা ইস্যু এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতা

২০২4 সালের মাঝামাঝি থেকে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন স্পষ্ট হতে থাকে, মূলত তিনটি কারণে:

চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক: চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (CPEC) এবং সামরিক সহযোগিতার কারণে আমেরিকা সন্দেহের চোখে পাকিস্তানের প্রতি তাকাচ্ছে।

আফগানিস্তান পরিস্থিতি: তালেবান শাসিত আফগানিস্তান নিয়ে পাকিস্তানের ভূমিকা এখনও অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে ওয়াশিংটনে।

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা: যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের কিছু ভূখণ্ডে জঙ্গিগোষ্ঠীর কার্যকলাপের অভিযোগ তুলেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালে কিছু বড় ধরনের অর্থনৈতিক অনুদান ও সহায়তা হ্রাস করেছে পাকিস্তানের প্রতি। IMF এবং World Bank-এর লোন পলিসিতেও আমেরিকার প্রভাব কাজ করছে। এর ফলে পাকিস্তানের অর্থনীতি আরও চাপে পড়ে গেছে

পাকিস্তান চীন, রাশিয়া ও তুরস্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে, যেন আমেরিকার প্রভাবকে ভারসাম্য করতে পারে।

দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় পাকিস্তান ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশের সাথেও সহযোগিতা বাড়িয়েছে।

তবে আশার দিকও রয়েছে:

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা আবার শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের শুরুতে।

শিক্ষা, জলবায়ু এবং সিভিল সোসাইটি পর্যায়ে সহযোগিতা এখনও কিছুটা অব্যাহত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পাকিস্তান এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানের দেশ, বিশেষ করে চীন ও আফগানিস্তান সংক্রান্ত নীতিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *