
দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র—ভারত ও পাকিস্তান—আবারও উত্তেজনার মুখোমুখি। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) বরাবর দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে, যা ইতোমধ্যেই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
২৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগাম এলাকায় এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত হন। ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামের একটি নতুন জঙ্গি সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করলেও, ভারত এই ঘটনার জন্য পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিদের দায়ী করে।
পাকিস্তান অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, তাদের কোনো রাষ্ট্রীয় সম্পৃক্ততা নেই এবং ঘটনাটি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যর্থতার ফলাফল হতে পারে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উভয়পক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির বিনিময় হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে একাধিক সেক্টরে গুলি চালায়। পাকিস্তান অবশ্য পাল্টা দাবি করে যে, ভারতীয় বাহিনী প্রথমে গুলি ছোড়ে, যার ফলে তারা জবাব দিতে বাধ্য হয়।
এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া না গেলেও, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বেসামরিক লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
দুই দেশের পারমাণবিক শক্তি: সামান্য উত্তেজনাও বড় সংঘাতে রূপ নিতে পারে।
কাশ্মীর ইস্যুর জটিলতা: বছরের পর বছর ধরে অমীমাংসিত কাশ্মীর ইস্যু এমন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
বেসামরিক প্রাণহানি ও মানবিক সংকট: সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর মানুষের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ছে
Sources:
– [ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়]
– [পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়]
– [জাতিসংঘ বিবৃতি]
আপনি কি মনে করেন, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিরসনে কী ধরনের উদ্যোগ সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে? মতামত জানাতে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।