কাশ্মির—দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের একটি কেন্দ্রবিন্দু বিরোধ। আর সেই আগুনে যেন আবার ঘি ঢাললেন পাকিস্তানের এক প্রভাবশালী নেতা, যিনি স্পষ্ট করেই বললেন,
“কাশ্মির নিয়ে আমরা ৩টি যুদ্ধ করেছি, প্রয়োজনে আরও ১০টি যুদ্ধ করব।”
এই ধরণের বক্তব্য কেবল অঞ্চলকে আরও অশান্তই করে না, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক, ঘৃণা ও যুদ্ধাবস্থা তৈরি করে।
১. ১৯৪৭-৪৮: প্রথম কাশ্মির যুদ্ধ, ভারতের দখলে থাকে জম্মু ও কাশ্মিরের বড় অংশ।
২. ১৯৬৫: দ্বিতীয় যুদ্ধ – পাকিস্তান অপারেশন জিব্রাল্টার চালায়, ভারত জবাব দেয়।
৩. ১৯৯৯ (কারগিল যুদ্ধ): পাকিস্তানি সেনা ও জঙ্গিরা কারগিল পার্বত্য অঞ্চলে ঢুকে পড়ে, ভারত সফলভাবে তাদের হটিয়ে দেয়।
→ সবগুলো যুদ্ধে ভারতের সামরিক জয় স্পষ্ট, কিন্তু কাশ্মির সমস্যা রয়ে গেছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপট: কেন আবার এমন বক্তব্য?
বর্তমানে ভারত কাশ্মিরের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, বিশেষ করে ২০১৯ সালে ভারত সরকারের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাকিস্তান তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
পাকিস্তানের সাম্প্রতিক এই যুদ্ধ-বান্ধব বক্তব্য হয়তো আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ, অথবা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদের জোয়ার তোলার চেষ্টা।
এমন মন্তব্যের পরিণতি কী হতে পারে?
আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়বে
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে
আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে পারে উভয় দেশের উপরেই
শান্তি ও সংলাপের পথ আরও কঠিন হয়ে উঠবে
ভারতের প্রতিক্রিয়া
ভারত সাধারণত এসব উস্কানিমূলক মন্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে কূটনৈতিকভাবে জবাব দিয়ে থাকে। তবে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।
কাশ্মির একটি সংবেদনশীল এবং মানবিক ইস্যু। তিনটি যুদ্ধ, হাজারো প্রাণহানি, এবং এখনও একটি স্থায়ী সমাধানের অনুপস্থিতি—এটাই প্রমাণ করে যে যুদ্ধ কোনো সমস্যার সমাধান নয়।
ভারত ও পাকিস্তানের উচিত শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মির সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল অঞ্চল রেখে যাওয়া।