বাংলাদেশের হাওর অঞ্চল—প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি। বিস্তীর্ণ জলাভূমি, সরু বাঁধ, সীমিত যোগাযোগ ব্যবস্থা—এই এলাকার মানুষ বছরের বেশিরভাগ সময় পানিবন্দি থাকে। মাত্র একবার, অর্থাৎ বোরো মৌসুমেই ফসল তোলার সুযোগ। এই সীমিত সময়ে ধান কাটা একটা রীতিমতো দৌড়ের ওপর নির্ভর করে।

একটু দেরি হলেই বন্যার পানিতে ভেসে যেতে পারে কৃষকের সারা বছরের পরিশ্রম। ঠিক এই জায়গাতেই আশার আলো হয়ে এসেছে ভাড়ায় হারভেস্টার সেবা।
এটি এমন এক ব্যবস্থা, যেখানে কৃষক নিজে কোনো যন্ত্র না কিনেও অল্প খরচে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ধান কাটার মেশিন (হারভেস্টার) ভাড়া নিতে পারেন। সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ভর্তুকি দিচ্ছে, আবার বেসরকারি উদ্যোক্তারাও এসব যন্ত্র কিনে কৃষকদের মাঝে ভাড়ায় ব্যবহার করার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
সুনামগঞ্জের তাহেরপুরের কৃষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন,
“আগে ধান কাটা মানেই রাত জেগে চিন্তা। এখন অ্যাপে মেশিন বুক করি, সময়মতো আসে, ধান কেটে দেয়। এত শান্তিতে কখনো ফসল তুলি নাই।”
হারভেস্টার ভাড়ার ধরন:
ঘণ্টা/দিন হিসেবে ভাড়া
একরভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ
গ্রুপ বা সমবায় পদ্ধতিতে ব্যবহারের সুযোগ

যদিও প্রযুক্তির সুবিধা অনেক, তবু কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েই গেছে:
প্রশিক্ষণের অভাব: অনেক কৃষক এখনও জানেন না কিভাবে হারভেস্টার ব্যবহার করতে হয় বা কোথায় ভাড়া পাওয়া যায়।
যন্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ: রাস্তাঘাট খারাপ থাকায় যন্ত্র বিকল হলে তা দ্রুত মেরামত সম্ভব হয় না।
সুষম বণ্টন: মৌসুমে চাহিদা বেশি থাকায় অনেক কৃষক সময়মতো মেশিন পান না।
হারভেস্টার দিচ্ছে।
আরো প
1ড়ুন
বেসরকারি উদ্যোক্তা ও সমবায় গোষ্ঠী হারভেস্টার কিনে ভাড়ায় চালাচ্ছেন।
“ডিজিটাল কৃষি সেবা” অ্যাপ বা হটলাইন চালু করে তথ্য সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।