
জাপান বর্তমানে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কারণে শ্রমিক সংকটে ভুগছে। ফলে দেশটি দক্ষ ও আধা-দক্ষ বিদেশি কর্মী নিচ্ছে Technical Intern Training Program (TITP) ও Specified Skilled Worker (SSW) প্রোগ্রামের মাধ্যমে।
১. BMET (বাংলাদেশের সরকার অনুমোদিত বিদেশগমন সংস্থা)-এর মাধ্যমে আবেদন করুন।
২. POEA (Japan-এর অনুমোদিত নিয়োগদাতা সংস্থা) খুঁজে বের করুন।
৩. জাপান দূতাবাস বা বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই করুন।
৪. কোনো অফার পেলে তা পরীক্ষা করে নিন—ভিসা, কোম্পানির নাম, কাজের ধরণ।
Most Viewed Posts
এই প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে কৃষি, নির্মাণ, নার্সিং, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ম্যানুফ্যাকচারিং ইত্যাদি খাতে বাংলাদেশি কর্মীরা কাজের সুযোগ পাচ্ছেন।
সম্প্রতি ফেসবুক, ইউটিউব ও কিছু অনলাইন পোর্টালে এমন এক আকর্ষণীয় খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে—“জাপান বিনা খরচে কর্মী নিচ্ছে, মাসিক বেতন দুই লাখ টাকা!” খবরটি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকের মনে আশার আলো জ্বলে ওঠে। কিন্তু এই আশার পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক বাস্তবতা, বিভ্রান্তি এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণার ফাঁদ।
চলুন খুঁজে দেখা যাক আসল চিত্রটা ঠিক কেমন।
ভাষাজ্ঞান: জাপানি ভাষায় JLPT N4 বা JFT Basic পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
দক্ষতা পরীক্ষায় পাস করতে হয়।
কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ভিসা, টিকিট ইত্যাদি খরচ বহন করে, তবে সবক্ষেত্রে নয়।
অনেকেই প্রশ্ন করেন, “দুই লাখ টাকা বেতন কি সত্যি?”
হ্যাঁ, সম্ভব। তবে—
জাপানে ঘণ্টাপ্রতি মজুরি অঞ্চলভেদে ৯০০-১২০০ ইয়েন।
মাসে ৪০ ঘণ্টা × ৪ সপ্তাহ = ১৬০ ঘণ্টা কাজ করলে আয় হয় প্রায় ১,৫০,০০০ থেকে ২,৫০,০০০ ইয়েন (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,১০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা)।
তবে বাসস্থান, খাওয়া ও অন্যান্য খরচ কেটে গেলে হাতে কম টাকা থাকতে পারে।
স্মরণ রাখুন—বিদেশ যাওয়ার পথে সতর্কতাই সবচেয়ে বড় সঙ্গী।