আমরণ অনশন: কুয়েটের ৩২ শিক্ষার্থীর প্রতিবাদের নীরব আগুন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এ চলমান এক আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের একমাত্র দাবি—উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে পদত্যাগ করতে হবে।

এই অনশনের শুরু হয় ২১ এপ্রিল বিকেলে, যখন শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর অনশনে বসেন। তাঁরা কুয়েট ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় বসে অনশন করছেন। দ্বিতীয় দিন পর্যন্তও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অনড়।

মূলত, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছিল, যা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, উপাচার্যের সিদ্ধান্ত ছিল একপেশে এবং অন্যায্য। তাঁর প্রশাসনিক কার্যকলাপ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের দাবি, তাঁদের কোনো ধরনের তদন্ত বা শুনানি ছাড়াই শাস্তি দেওয়া হয়েছে, যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এতে ছাত্রসমাজ মনে করছে—প্রশাসন তাদের ‘শত্রু’ হিসেবে দেখছে। এই মানসিক দূরত্বই আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢেলেছে।

প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিছুটা নিরব ভূমিকা পালন করলেও, অনশন দীর্ঘায়িত হওয়ায় এবং জাতীয় মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করায় তারা আলোচনার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সাফ জানিয়ে দেয়—”উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া আলোচনা নয়।”

এই আন্দোলন এখন ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘হট টপিক’। অনেক সাবেক কুয়েট শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ প্রকাশ্যে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *