
২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয়। গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের আত্মত্যাগ দেশকে একটি নতুন রাজনৈতিক ধারায় প্রবেশ করতে সহায়তা করে। এই আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দিতে বাংলাদেশ সরকার এক ব্যতিক্রমী ও মানবিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে—শহিদ ও আহত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা, ফ্ল্যাট বরাদ্দ ও বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা: মিরপুরে ফ্ল্যাট বরাদ্দ
সরকার রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রায় ২৮০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ করছে। এসব ফ্ল্যাট শহিদ ও আহত পরিবারগুলোকে বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এটি শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই নয়, বরং এটি তাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে একটি স্থায়ী স্মারক।
আর্থিক সহায়তা ও ভাতা: জীবনের নিরাপত্তা
শহিদ পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম বছরে ১০ লাখ এবং পরের বছরে ২০ লাখ টাকা দেয়া হবে।
মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা প্রতিটি শহিদ পরিবার পাবে।
আহত ব্যক্তিদের তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সহায়তা দেয়া হচ্ছে:

শিক্ষা ও চাকরিতে বিশেষ সুযোগ
শহিদ ও আহত পরিবারের সন্তানদের জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫% কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে।
চাকরি খাতে (সরকারি ও আধা-সরকারি) এই পরিবারগুলোর সদস্যদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
যাচাই-বাছাই ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, কিছু অসাধু ব্যক্তি ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে এই সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করছে। তাই সরকার কঠোরভাবে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছে, যাতে প্রকৃত পরিবারগুলোই এই সহায়তা পায়।