
টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলায় দাখিল পরীক্ষার সময় একটি অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছোবহান অভিযোগ করেন, তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ড মো. তারিকুল ইসলাম।
এই ঘটনার শুরু এক অনিয়মের অভিযোগ থেকে। অধ্যক্ষ ছোবহান স্থানীয় ধর্মীয় শিক্ষা সংগঠন ‘জমিয়াতুল মোদারেছিন’-এর নেতাদের বিরুদ্ধে সহায়ক পাঠ্যবইয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন। এর জেরে তাকে কেন্দ্রসচিব পদ থেকে সরিয়ে সেখানে সভাপতি আফছার উদ্দিনকে বসানো হয়।
আদালতের রায় ও প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব
পরবর্তীতে অধ্যক্ষ ছোবহান হাইকোর্টে আপিল করলে ৮ এপ্রিল তিনি পুনরায় কেন্দ্রসচিব হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু ৯ এপ্রিল এসিল্যান্ড কেন্দ্রে এসে জানান, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আফছার উদ্দিনই দায়িত্বে থাকবেন। এ নিয়ে কেন্দ্রের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
লাঞ্ছনার অভিযোগ
অধ্যক্ষ ছোবহান অভিযোগ করেন, এসিল্যান্ড তারিকুল ইসলাম তাকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ ও ধাক্কা দেন। তার ছেলে বলেন, ঘটনার পর তার বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং নিজেকে ভীষণ অপমানিত মনে করেন।
প্রশ্নপত্র ঘাটতির অভিযোগ ও মামলা
পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নপত্র ঘাটতির অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন কেন্দ্রসচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এর ফলে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না।
জনমতের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় শিক্ষক সমাজ ও সচেতন নাগরিকরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। তারা দাবি করছেন, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষী প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে—তা সে যেই হোক না কেন।