
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চোরাচালান নতুন কোনো বিষয় নয়। কিন্তু জীবন্ত পিঁপড়া পাচার?
হ্যাঁ, সম্প্রতি কেনিয়ার এক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, যেখানে চারজন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে ৫,০০০ জীবন্ত পিঁপড়া নিয়ে বিদেশে যাওয়ার সময়।
Most Viewed Posts
- বর্তমানে ভিক্ষুকের ইনকাম এর পরিমাণ অনেক চাকরিজীবীকেও পেছনে ফেলে দেয়।সরকারি পুনর্বাসন উদ্যোগ সরকার ভিক্ষাবৃত্তি কমাতে বিভিন্ন পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫৮টি জেলায়…
- অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় ২০২৫ সালে পরীক্ষায় বসতে পারলেন না অনেক শিক্ষার্থীঅতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় ২০২৫ সালে পরীক্ষায় বসতে পারলেন না অনেক শিক্ষার্থী২০২৫ সালে এসএসসি ও…
কীভাবে পাচারের চেষ্টা হয়েছিল?
পাচারকারীরা অত্যন্ত কৌশলে পিঁপড়াগুলো ইনজেকশনের সিরিঞ্জে ভরে পাচারের চেষ্টা করছিল।
প্রত্যেকটি সিরিঞ্জে রাখা হয় বহু সংখ্যক পিঁপড়া—যাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কিছু বিশেষ উপায়ও ব্যবহার করা হয়েছিল।
তাদের পরিকল্পনা ছিল এগুলোকে ইউরোপ বা এশিয়ার পোষা প্রাণীর বাজারে বিক্রি করা, যেখানে এই বিরল পিঁপড়াগুলোর বেশ চাহিদা রয়েছে।
পিঁপড়াও কি পোষ্য হতে পারে?
অবাক করার মতো হলেও সত্য,
বিশেষ প্রজাতির কিছু পিঁপড়া আজকাল অনেক দেশে পোষা প্রাণী হিসেবে সংগ্রহ করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে:
হার্ভেস্টার অ্যান্ট
বুলেট অ্যান্ট
অ্যামাজন প্যারাসাইট অ্যান্ট
এদের দাম প্রতি প্যাকেট ১০০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
কেনিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা
সন্দেহভাজন লাগেজ স্ক্যান করার সময় এই কৌতূহলোদ্দীপক পাচার ধরা পড়ে।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পাচারকারীদের আটক করেন এবং তদন্ত শুরু হয়।
আইন ও পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব
এই ঘটনার মাধ্যমে আরও একবার পরিষ্কার হলো যে:
বন্যপ্রাণী পাচার এখন শুধু বাঘ-হাতি নয়, পিঁপড়া পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
এই ধরনের পাচার পরিবেশের জন্য বিপদজনক, কারণ এতে একটি অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
: সচেতনতা ও কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োজন
এই ঘটনা আমাদের একটি বড় প্রশ্নের সামনে দাঁড় করায়:
মানুষের লোভ কতদূর যেতে পারে?
এমন ছোট একটি প্রাণীকেও যদি টাকার জন্য শোষণ করা হয়, তাহলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য কোথায় দাঁড়াবে?
আমাদের উচিত এই বিষয়ে সচেতন হওয়া, এবং বন্যপ্রাণী পাচারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া।