
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) এর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘটনা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত বিষয়। ২০০০ সাল থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিএসএফ-এর গুলিতে প্রায় ১,৮৩০ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, যা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি গভীর মানবাধিকার সংকটকে নির্দেশ করে।
Most Viewed Posts
- বর্তমানে ভিক্ষুকের ইনকাম এর পরিমাণ অনেক চাকরিজীবীকেও পেছনে ফেলে দেয়।সরকারি পুনর্বাসন উদ্যোগ সরকার ভিক্ষাবৃত্তি কমাতে বিভিন্ন পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫৮টি জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল । এছাড়া, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩,০৫০ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । ভিক্ষুকদের আয়ের বাস্তব চিত্র বর্তমানে বাংলাদেশে অনেকেই জীবিকার তাগিদে ভিক্ষাবৃত্তিতে যুক্ত। কারো শারীরিক অক্ষমতা, কারো পারিবারিক দারিদ্র্য, […]
- ইউটিউব ২০ বছর পূর্তি উদযাপন; ভিডিও সংখ্যা ছাডায় ২০০০ কোটি২০০৫ সালের ২৩ এপ্রিল — সময়টা তখন ছিল একেবারেই আলাদা। কেউ তখন কল্পনাও করতে পারেনি যে, মাত্র ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ‘Me at the zoo’ নাম নিয়ে বিশ্বকে বদলে দেবে। হ্যাঁ, এটাই ছিল ইউটিউবের প্রথম ভিডিও, এবং এর মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল ডিজিটাল কনটেন্ট বিপ্লব। আজ ২০২৫ সালে এসে ইউটিউব দাঁড়িয়ে আছে ২০০০ কোটিরও বেশি ভিডিওর […]
সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের পটভূমি:
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যার বেশিরভাগ অংশে বিএসএফ নিয়ন্ত্রণ রাখে
নিহতের সংখ্যা এবং প্রতিবেদন:
২০০০ থেকে ২০২৩: বিএসএফ-এর গুলিতে বছরে গড়ে ২০-৩০ জন বাংলাদেশি নিহত হয়। তবে ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ৩১ জনে পৌঁছেছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২১–২০২৪: এই সময়ে নিহতের সংখ্যা ছিল ১৮ (২০২১), ২৩ (২০২২) এবং ৩১ (২০২৩) জন।
২০২৪–২০২৫: ২০২৫ সালের প্রথম কয়েক মাসে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেও আরও কয়েকজন নিহত হন।
বিএসএফের ভূমিকা:
বিএসএফ কর্তৃপক্ষ দাবি করে যে, তারা সীমান্তে অবৈধ প্রবেশ এবং পাচার কার্যক্রম বন্ধ করতে এবং ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তাদের কাজ করছে। তবে অনেক সময় তারা অভিযোগ করে যে, বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে অত্যাধিক সহিংসতার অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া:
বাংলাদেশ সরকার এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলি এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের মতে, বিএসএফ সীমান্তে মানবাধিকারের লঙ্ঘন করছে এবং এই ধরনের ঘটনার তদন্ত করা উচিত। তারা বেশ কয়েকবার আন্তর্জাতিক আদালতে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছে।
ভবিষ্যত পরিস্থিতি:
এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ এবং সমালোচনার পর, ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে। তবে, একে একে এই সমস্যাগুলির সমাধান না হলে, ভবিষ্যতেও সীমান্ত হত্যা অব্যাহত থাকতে পারে।
এই হত্যাকাণ্ডের বন্ধের জন্য সমঝোতা এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনা আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে এটি একটি জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা।