
বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক অবস্থান, মানবাধিকার লঙ্ঘন, জাতিগত নিপীড়ন ও যুদ্ধের ভূমিকার কারণে কিছু দেশ বিশ্বব্যাপী ঘৃণার শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নিরপেক্ষ জরিপগুলোতে উঠে এসেছে এমন কিছু দেশের নাম, যাদের বিরুদ্ধে জনমনে প্রচণ্ড বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই তালিকায় ভারতের নামও রয়েছে, যা অনেকের কাছেই বিস্ময়কর হলেও বাস্তব।
Most Viewed Posts
- বর্তমানে ভিক্ষুকের ইনকাম এর পরিমাণ অনেক চাকরিজীবীকেও পেছনে ফেলে দেয়।সরকারি পুনর্বাসন উদ্যোগ সরকার ভিক্ষাবৃত্তি কমাতে বিভিন্ন পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫৮টি জেলায়…
কেন ঘৃণিত দেশের তালিকায় ভারত?
ভারতের ক্ষেত্রে মূলত নিম্নোক্ত কারণগুলো ঘৃণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে:
কাশ্মীর দমন নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি ও সাধারণ মানুষের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে।
বর্ণবাদ ও ধর্মীয় বিদ্বেষ
মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নাগরিকত্ব আইন, ও হিন্দু জাতীয়তাবাদের উত্থান ভারতকে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত করেছে।
গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা
নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগও রয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে।
আরও যেসব দেশ রয়েছে তালিকায়:
- ইসরায়েল
গাজা ও পশ্চিম তীরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর দমনমূলক হামলা এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলা দখলদারিত্বের কারণে বিশ্বব্যাপী তীব্র নিন্দিত। - রাশিয়া
ইউক্রেনে আক্রমণ এবং একনায়কতান্ত্রিক নীতির কারণে পশ্চিমা বিশ্ব ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তোপের মুখে। - মিয়ানমার
রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূল অভিযানের কারণে এই দেশটি বহু মানুষের কাছে ঘৃণার প্রতীক হয়ে উঠেছে। - চীন
উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন, হংকংয়ের স্বাধীনতা দমন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগের কারণে সমালোচিত। - উত্তর কোরিয়া
কঠোর একনায়কতন্ত্র, পারমাণবিক হুমকি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে এই দেশটিও ঘৃণিত তালিকায় রয়েছে।
মানুষের ঘৃণার প্রতিফলন কোথায়?
সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ড: টুইটার, রেডিট ও ফেসবুকে এই দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রচুর সমালোচনা ও বিতর্ক দেখা যায়।
বৈশ্বিক জরিপ ও রিপোর্ট: বিভিন্ন গবেষণা ও জরিপে এসব দেশের নেতিবাচক ইমেজ উঠে এসেছে।
দেশগুলোর ভেতরে কিছু ভালো দিক থাকলেও তাদের সরকারের আচরণ এবং নীতির কারণে বিশ্বমঞ্চে ঘৃণার তালিকায় স্থান পেয়েছে। আমাদের উচিত শুধু ঘৃণা নয়, বরং ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়া।