
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই মামলাটি প্রযুক্তি জগতে এক বড় আলোড়ন তুলেছে, যেখানে স্বচ্ছতা, ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবং কর্পোরেট নৈতিকতার প্রশ্ন নতুন করে সামনে এসেছে।
Most Viewed Posts
- বর্তমানে ভিক্ষুকের ইনকাম এর পরিমাণ অনেক চাকরিজীবীকেও পেছনে ফেলে দেয়।সরকারি পুনর্বাসন উদ্যোগ সরকার ভিক্ষাবৃত্তি কমাতে বিভিন্ন পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫৮টি জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল । এছাড়া, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩,০৫০ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । ভিক্ষুকদের আয়ের বাস্তব চিত্র বর্তমানে বাংলাদেশে অনেকেই জীবিকার তাগিদে ভিক্ষাবৃত্তিতে যুক্ত। কারো শারীরিক অক্ষমতা, কারো পারিবারিক দারিদ্র্য, […]
- ইউটিউব ২০ বছর পূর্তি উদযাপন; ভিডিও সংখ্যা ছাডায় ২০০০ কোটি২০০৫ সালের ২৩ এপ্রিল — সময়টা তখন ছিল একেবারেই আলাদা। কেউ তখন কল্পনাও করতে পারেনি যে, মাত্র ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ‘Me at the zoo’ নাম নিয়ে বিশ্বকে বদলে দেবে। হ্যাঁ, এটাই ছিল ইউটিউবের প্রথম ভিডিও, এবং এর মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল ডিজিটাল কনটেন্ট বিপ্লব। আজ ২০২৫ সালে এসে ইউটিউব দাঁড়িয়ে আছে ২০০০ কোটিরও বেশি ভিডিওর […]
- অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় ২০২৫ সালে পরীক্ষায় বসতে পারলেন না অনেক শিক্ষার্থীঅতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় ২০২৫ সালে পরীক্ষায় বসতে পারলেন না অনেক শিক্ষার্থী২০২৫ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাকে ঘিরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে — বহু শিক্ষার্থী শুধুমাত্র অতিরিক্ত টাকা দিতে না পারায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এই ঘটনা শুধু দুঃখজনকই নয়, শিক্ষাব্যবস্থার নৈতিক ভিত্তির ওপর এক গভীর আঘাত।সরকার নির্ধারিত ফি, […]
অভিযোগের পটভূমি:
বিভিন্ন সূত্র জানায়, জাকারবার্গের নেতৃত্বাধীন মেটা (পূর্বে ফেসবুক) প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়ম করেছে। বিশ্বাসভঙ্গের এই অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে ডেটা শেয়ারিং, যা পূর্বে ব্যবহারকারীদের জানানো হয়নি।
বিচারিক প্রক্রিয়ার অগ্রগতি:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে মামলাটি গৃহীত হয়েছে এবং ইতিমধ্যে শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রসিকিউশন পক্ষ দাবি করছে, জাকারবার্গ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাকে ব্যবহার করে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যকে পণ্যে পরিণত করেছেন, যা সরাসরি বিশ্বাসভঙ্গের শামিল।
প্রতিক্রিয়া ও বিশ্লেষণ:
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি জাকারবার্গ দোষী সাব্যস্ত হন, তবে এটি কেবল প্রযুক্তি খাতেই নয়, পুরো কর্পোরেট বিশ্বের জন্য একটি দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত হতে পারে। একইসঙ্গে এই বিচার ব্যবহারকারীর অধিকার ও গোপনীয়তা বিষয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দেবে।
মার্ক জাকারবার্গের বিচার প্রক্রিয়া প্রযুক্তি জগতের জন্য এক সংকেত— যেখানে ক্ষমতা ও তথ্য ব্যবহারে আরো সতর্কতা ও স্বচ্ছতা দরকার। এই মামলার পরিণতি কেমন হবে তা সময়ই বলে দেবে, তবে এটি নিঃসন্দেহে ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।