16 Apr 2025, Wed

রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনে ভারতীয় ওষুধ গুদাম ধ্বংস — মানবিক সহায়তায় বড় ধাক্কা

২০২৫ সালের ১২ এপ্রিল, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত ভারতের নামকরা ওষুধ কোম্পানি ‘কুসুম ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর একটি ওষুধ গুদামে রাশিয়ার চালানো ড্রোন হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই গুদামটিতে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ মজুত ছিল, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা হিসেবে পাঠানো হয়েছিল।

ইউক্রেনের দূতাবাস এক্স-পোস্টে লিখেছে, ‘আজ (শনিবার) রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে ভারতীয় ওষুধ কোম্পানি কুসুমের গুদামে আঘাত হেনেছে।

আরো দেখুন ইসলাম

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর আক্রমণাত্মক অভিযান সম্মুখসারিতে তীব্র হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক হামলার মাত্রাবৃদ্ধি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনীর বসন্তকালীন আক্রমণের সূচনা কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এক ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। যুদ্ধক্ষেত্র এখন আর শুধু সৈনিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই—বেসামরিক স্থাপনাও আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে। আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ভারতের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও। কিয়েভে ভারতীয় কোম্পানির এই গুদাম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

ভারতে অবস্থিত ইউক্রেন দূতাবাস এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে—
“মস্কো ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনা যুদ্ধের বাইরেও এক অমানবিক দৃষ্টান্ত।”

ভারতেসরকারির প্রতিক্রিয়া

এই ঘটনায় ভারতের কূটনৈতিক মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

ইউক্রেনে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মার্টিন হ্যারিস বলেন,
“এটি মানবিক সহায়তা ব্যবস্থার ওপর সরাসরি হামলা।”

যদিও তিনি গুদামটি ভারতীয় কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করেননি, তবে আক্রমণের ভয়াবহতা তুলে ধরেন।

রাশিয়ার বক্তব্য

রাশিয়া এখনো সরাসরি এই হামলা স্বীকার করেনি। তারা উল্টো অভিযোগ করেছে যে, ইউক্রেন রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা করেছে।


এই হামলা শুধু একটি গুদাম ধ্বংস নয়, এটি মানবিক সহায়তার ওপর এক নিষ্ঠুর আঘাত। যুদ্ধের মধ্যে কিছু নিরপেক্ষ ও সহায়ক ক্ষেত্র থাকে—যেমন হাসপাতাল, ওষুধ, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। কিন্তু রাশিয়ার এই পদক্ষেপ সেই সীমা লঙ্ঘন করেছে।


ভারত এতদিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকেছে। কিন্তু এবার যুদ্ধের আগুন যেন ভারতের দরজায়ও এসে ঠেকেছে। আন্তর্জাতিক মহলের উচিত এই হামলার তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক প্রতিক্রিয়া জানানো—যাতে ভবিষ্যতে মানবিক সহায়তাও অস্ত্রের নিশানা না হয়।

Most Viewed Posts

Most Viewed Posts

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *