
“পাগলা মসজিদ – বিশ্বাস, ভক্তি ও বিপুল দানের কেন্দ্রবিন্দু”
বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে অবস্থিত পাগলা মসজিদ কেবল একটি ধর্মীয় স্থান নয়—এটি এক রহস্যঘেরা দানের কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু। এই মসজিদের দানবাক্স খোলার সময় পুরো দেশ যেন তাকিয়ে থাকে পর্দা সরার অপেক্ষায়। কারণ? কোটি কোটি টাকার চমক!
২০২৫ সালে পাগলা মসজিদের ব্যাংক একাউন্টে কত টাকা?
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত পাগলা মসজিদের ব্যাংক একাউন্টে জমা রয়েছে:
৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা!
এই বিপুল অর্থ মূলত প্রতি বছর কয়েকবার দানবাক্স খোলার মাধ্যমে সংগৃহীত হয়।
দানবাক্স খোলার সময় কেমন হয়?
দানবাক্স খোলার দিন কিশোরগঞ্জ শহরে যেন উৎসবের আমেজ দেখা যায়। প্রশাসন, সাংবাদিক, ব্যাংক কর্মকর্তা সবাই উপস্থিত থাকেন।
২০২৫ সালের এপ্রিলে খোলা দানবাক্স থেকে পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা!
গত ৩ বছরে পাওয়া অর্থের পরিমাণ
মোট প্রায় ৫৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকারও বেশি।
এই অর্থ কোথায় ব্যবহার হয়?
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি দানকৃত অর্থ ব্যয় করে থাকে:
মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণে
স্থানীয় মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় সহায়তায়
দরিদ্রদের আর্থিক সহায়তায়
ধর্মীয় ও সমাজকল্যাণমূলক কাজে
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: ইসলামিক কমপ্লেক্স
পাগলা মসজিদকে একটি আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক কমপ্লেক্সে রূপান্তরের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের বাজেট ১১৫ কোটি টাকা, যাতে থাকবে:
ইসলামি গবেষণা কেন্দ্র
আধুনিক ইসলামিক পাঠাগার
আন্তর্জাতিক পর্যটক তথ্যকেন্দ্র
আধুনিক অডিটোরিয়াম ও আবাসিক ব্যবস্থাপনা
পাগলা মসজিদ যেন শুধু ইবাদতের জায়গা নয়, বরং মানুষের বিশ্বাস, আস্থা ও উদারতার এক অনন্য নিদর্শন। আজকের যুগে যেখানে মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে, সেখানে এই মসজিদ প্রমাণ করে, এখনো হৃদয়ের দ্বার খোলা আছে।
আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না! আপনি কি কখনো পাগলা মসজিদে গেছেন বা দান করেছেন?