
Most Viewed Posts
- বর্তমানে ভিক্ষুকের ইনকাম এর পরিমাণ অনেক চাকরিজীবীকেও পেছনে ফেলে দেয়।
- অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় ২০২৫ সালে পরীক্ষায় বসতে পারলেন না অনেক শিক্ষার্থী
- কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ২০২৫
- বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেলো স্টারলিংক এর খেলা ২০২৫
- পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে ২০২৫
ফাউমি মুরগি পালন বাংলাদেশের জন্য একটি লাভজনক ও টেকসই খামার উদ্যোগ হতে পারে। নিচে ফাউমি মুরগি পালন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছি, যা নতুন খামারিরাও সহজে বুঝতে পারবেন।
ফাউমি মুরগি কী?
ফাউমি (Fayoumi) মুরগি মূলত মিশরীয় জাতের একটি দেশি মুরগি, যা দ্রুত বর্ধনশীল, রোগ প্রতিরোধে সক্ষম এবং কম খরচে পালনযোগ্য।
ফাউমি মুরগির বৈশিষ্ট্য
পালনের সুবিধা
সহজে বড় হয়
ঘাস ও প্রাকৃতিক খাদ্যেও চলতে পারে
দেশি ও বর্ণিল মুরগির মতো দেখতে, বাজারে চাহিদা ভালো
কম খরচে অধিক লাভ সম্ভব
অল্প জায়গায় পালনযোগ্য
খামার প্রস্তুতি ও যত্ন
১. ঘর তৈরি:
খোলা বাতাস চলাচলযোগ্য ঘর
গরম ও ঠান্ডা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
২. খাদ্য:
চালের কুড়া, গম, ভুট্টা, খৈল, খনিজ খাদ্য
মাঝে মাঝে ঘাস ও কেঁচো দেওয়া ভালো
৩. ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা:
ND (রানীক্ষেত), গামবোরো, মারেক্স ইত্যাদির ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে
নিয়মিত ওষুধ ও পর্যবেক্ষণ
লাভের হিসাব (প্রতিমাসে ৫০টি মুরগির জন্য)
মোট খরচ: ~৬,০০০ টাকা
আয় (ডিম বিক্রি বা মুরগি বিক্রি): ~১০,০০০ – ১২,০০০ টাকা
মাসে লাভ: ~৪,০০০ – ৬,০০০ টাকা
ফাউমি মুরগির উৎপাদন বৈশিষ্ট্য
১. ডিম উৎপাদন
একটি মুরগি গড়ে বছরে ১৬০-২০০টি ডিম দেয়।
ফাউমি মুরগি তুলনামূলকভাবে অল্প বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে (প্রায় ৪.৫-৫ মাস বয়সে)।
ডিমের খোসা সাদা রঙের এবং একটু ছোট আকারের হয়, তবে পুষ্টি মান ভালো।
২. মাংস উৎপাদন
মাংসের স্বাদ দেশি মুরগির মতোই।
বাজারে চাহিদা বেশি, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে।
৫-৬ মাসে একটি মোরগ ১.৮-২ কেজি পর্যন্ত হতে পারে, বাজারে বিক্রয়যোগ্য।
বংশ বিস্তার ও প্রজনন
ফাউমি মুরগি প্রাকৃতিকভাবে ডিমে তা দেয় (broody হয়), তাই বাচ্চা ফুটানোর জন্য ইনকিউবেটরের দরকার পড়ে না।
একটি ফাউমি মুরগি সাধারণত ১০-১২টি ডিমে তা দিতে পারে এবং ফুটন্ত হার বেশ ভালো (~৮০%)।
বাচ্চারা তুলনামূলক শক্তপোক্ত হয়, মৃত্যুহার কম।
খামারের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি
জমি নির্বাচন
উঁচু জায়গা, জলাবদ্ধতা নেই এমন এলাকা
রাস্তা ও বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলে ভালো
ঘরের ধরন
বাঁশ, টিন বা সিমেন্ট দিয়ে ঘর বানানো যায়
পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা
ঠান্ডা ও গরমের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
বাজারজাতকরণ (Marketing)
স্থানীয় হাট-বাজারে দেশি মুরগির বিকল্প হিসেবে ভালো চাহিদা রয়েছে
রেস্টুরেন্ট, হোটেল বা অর্গানিক ফুড স্টোরেও ফাউমি মুরগি ও ডিম বিক্রি করা যায়
সোশ্যাল মিডিয়া বা ফেসবুক পেজ খুলে নিজের খামারের ব্র্যান্ড তৈরি করা যায়
ফাউমি বনাম অন্য জাত
উন্নতির টিপস
বাচ্চা উৎপাদনের জন্য ১টি মোরগের সঙ্গে ৮-১০টি মুরগি রাখো
ডিপ লিটার পদ্ধতিতে পালন করলে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সহজ হয়
প্রতি ১৫ দিনে খামার জীবাণুমুক্ত করো
বাজারে চাহিদা বুঝে পরিকল্পনা করো—ডিম নাকি মাংস বিক্রি হবে বেশি?