
আজকে আমরা যে ইউটিউবকে বিনোদন, শিক্ষা, ব্যবসা ও যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে দেখি, তার যাত্রা শুরু হয়েছিল খুব সাধারণ এক ধারণা থেকে। কীভাবে এই প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠলো, কে এর পেছনে ছিলেন, এবং কিভাবে এটি আজকের অবস্থানে এলো—চলুন জেনে নিই ইউটিউবের জন্মকথা।
Most Viewed Posts
৩ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ (3)
মিয়ানমারে ভূমিকম্প: অন্তত ১৪৪ প্রাণহানির তথ্য দিলো জান্তা, ব্যাংককে নিখোঁজ ৮১ (3)
ভারতে জুমা ও ঈদের নামাজ রাস্তায় পড়লে পাসপোর্ট বাতিলভারতে জুমা ও ঈদের নামাজ রাস্তায় পড়লে পাসপোর্ট বাতিল (3)
- বাংলাদেশী টাকায় আজকের টাকার রেট – ২৮ মার্চ ২০২৫ (3)
- বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের আজকের টাকার রেট ৩০ মার্চ রবিবার ২০২৫। (3)
- বিক্রি হয়ে গেল ইলন মাস্কের ‘এক্স’। (3)
ইউটিউবের শুরু
২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, ক্যালিফোর্নিয়ার সান মেটিও শহরে তিনজন তরুণ উদ্যোক্তা—চ্যাড হারলি, স্টিভ চেন ও জাওয়েদ করিম—মিলিতভাবে ইউটিউব প্রতিষ্ঠা করেন। এই তিনজনই আগে অনলাইন পেমেন্ট কোম্পানি PayPal-এ কাজ করতেন।
তাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে মানুষ সহজেই ভিডিও আপলোড, শেয়ার এবং দেখার সুযোগ পাবে। তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকেই এই চিন্তার জন্ম হয়—তারা একটা পার্টির ভিডিও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন।
প্রথম ভিডিও: Me at the Zoo
ইউটিউবে আপলোড হওয়া প্রথম ভিডিওটি ছিল “Me at the Zoo”। এই ভিডিওটি আপলোড করেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা জাওয়েদ করিম, ২০০৫ সালের ২৩ এপ্রিল। ভিডিওটিতে তিনি সান দিয়েগো চিড়িয়াখানায় দাঁড়িয়ে হাতি নিয়ে কথা বলছেন।
এই ভিডিও এখনো ইউটিউবে রয়েছে এবং এটি ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।
ভিডিওটি দেখুন
গুগলের হাতে ইউটিউব
ইউটিউবের জনপ্রিয়তা খুব দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০০৬ সালের নভেম্বরে গুগল ১.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে ইউটিউব কিনে নেয়। এই চুক্তির পর ইউটিউব আরও শক্তিশালী প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পায় এবং বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
আজকের ইউটিউব
বর্তমানে ইউটিউব প্রতি মাসে ২ বিলিয়নের বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারীকে সেবা দিচ্ছে। প্রতিদিন লাখ লাখ ভিডিও আপলোড হচ্ছে, দেখা হচ্ছে, এবং বিশ্বের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে পড়ছে।
ইউটিউব শুধু একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট নয়—এটি এখন:
একটি ব্যবসার মাধ্যম (YouTube Partner Program),
একটি শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম (EduTube),
একটি বিনোদনের জগৎ (YouTube Music, YouTube Movies),
এবং একটি ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ।
উপসংহার
একটি সাধারণ প্রয়োজন থেকে জন্ম নেওয়া ইউটিউব আজ কোটি কোটি মানুষের জীবনের অংশ। এর যাত্রা আমাদের দেখিয়ে দেয়—একটি ভালো আইডিয়া ও সঠিক সময়ের উদ্যোগ কিভাবে বিশ্বকে বদলে দিতে পারে।