
স্টারলিংক কী?
স্টারলিংক হলো ইলন মাস্কের কোম্পানি SpaceX-এর একটি প্রজেক্ট, যেটা পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সরবরাহ করতে স্যাটেলাইট ব্যবহার করে। এটা মূলত গ্রামীণ বা দুর্গম এলাকায় যেখানে ফাইবার বা মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছায় না, সেখানে খুব উপকারী।
ঢাকায় স্টারলিংক চালু হলো ২০২৫ সালে
১. উদ্বোধন কোথায় হলো?
২০২৫ সালের ৯ এপ্রিল, ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে “বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট” নামে একটি ইভেন্টে স্টারলিংকের ইন্টারনেট ট্রায়াল চালু করা হয়। সেখানে অতিথিরা সরাসরি স্টারলিংক ইন্টারনেট ব্যবহার করে দেখেছেন।
২. গতি কেমন ছিল?
একইসঙ্গে ৭০ জন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও, প্রায় ১৭০ Mbps গতি পাওয়া গেছে, যা বাংলাদেশের অনেক ব্রডব্যান্ড কানেকশনের চেয়েও বেশি। এর মানে, ভিডিও দেখা, গেম খেলা বা বড় ফাইল ডাউনলোড—সবই খুব দ্রুত হবে।
৩. অফিসিয়ালি কবে চালু হবে?
স্টারলিংক মার্চ ২০২৫-এ বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিবন্ধন পায়। সরকার তাদের ৯০ দিনের মধ্যে পরিষেবা শুরু করতে বলেছে। সুতরাং, জুন ২০২৫-এর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।
৪. লাইসেন্সের অবস্থা কী?
বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা দিতে হলে বিটিআরসি (টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা) থেকে লাইসেন্স লাগবে। স্টারলিংক ইতোমধ্যেই সেই লাইসেন্সের অনুমোদন পেয়েছে।
স্টারলিংক আসলে কী পরিবর্তন আনবে?
গ্রামে ইন্টারনেট পৌঁছাবে—যেখানে এখনো নেট নেই, সেখানেও স্টারলিংক যাবে।
ডিজিটাল শিক্ষা ও চিকিৎসা—দূরবর্তী এলাকায় অনলাইন শিক্ষা, টেলিমেডিসিন সম্ভব হবে।
ব্যবসা ও ফ্রিল্যান্সিং—উচ্চগতির নেট থাকলে ফ্রিল্যান্সিং বা রিমোট কাজ বাড়বে।