রক্তাক্ত গাজা: ৭ এপ্রিল ২০২৫-এ ফিলিস্তিনের হৃদয়বিদারক বাস্তবতা
নাসের হাসপাতালে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মৃত্যু ও ধ্বংসের ছায়ায় আবৃত গাজা, এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা।
গাজা উপত্যকা আজ আরেকটি ভয়াবহ দিন পার করলো। ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো বিমান হামলায় মৃত্যু, আতঙ্ক এবং মানবিক বিপর্যয়ের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এই দিনে গাজার নাসের হাসপাতালের ভেতরে একটি মিডিয়া টেন্টে হামলা চালানো হয়—যেখানে সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা: সত্য জানানোর অপরাধে শাস্তি?
নিহত সাংবাদিক ইউসেফ আল-ফাকাওয়ি ছিলেন গাজার অন্যতম সাহসী কণ্ঠ। তার সঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন সাংবাদিক। যেসব মানুষ সত্য তুলে ধরতে কলম ও ক্যামেরা হাতে নেন, তারা আজ অস্ত্রধারীদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছেন।
মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জন নিহত এবং ১৩৭ জন আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত মোট প্রাণহানির সংখ্যা ৫০,৭৫২ জন। আহত হয়েছেন ১১৫,৪৭৫ জন। গাজা যেন আজ এক চলমান কবরস্থান।
পশ্চিম তীরে প্রতিবাদ ও ধর্মঘট
গাজার অবস্থা দেখে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা আজ সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। সব ধরনের আর্থ-সামাজিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে তারা গাজার ভাই-বোনদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠক
এই সংঘাতের মাঝেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকের বিষয়বস্তু গোপন থাকলেও, ধারণা করা হচ্ছে এটি যুদ্ধবিরতি ও রাজনৈতিক সমর্থন নিয়েই।
বিশ্বের ভূমিকা: নীরব প্রত্যক্ষদর্শী?
যখন শিশুদের কান্না, বিধ্বস্ত মায়েদের আর্তনাদ, আর চিকিৎসাহীন মানুষের মৃত্যু সংবাদ আমাদের ছুঁয়ে যায়—তখন প্রশ্ন জাগে, বিশ্ব মানবতা কি শুধুই কাগজে-কলমে?