
বর্তমানে ফিলিস্তিন, বিশেষ করে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীর, ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গাজার মানুষের জন্য এটি যেন এক নিস্তারহীন দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে।
গাজার পরিস্থিতি:
গাজা উপত্যকা এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ—কোনো কিছুই রক্ষা পাচ্ছে না। বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও নারী। প্রায় ৫০,০০০-এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, এবং আহতের সংখ্যা লক্ষ ছাড়িয়েছে।
আরেকটি বড় সংকট হলো মানবিক সহায়তা। মার্চ ২০২৫ থেকে গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি পণ্য প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে মানুষ ক্ষুধার্ত, অসুস্থ, এবং আশ্রয়হীন। ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজার এক মিলিয়নেরও বেশি শিশু এক মাসের বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা পাচ্ছে না।
‘নো-গো জোন’:
ইসরায়েল গাজার প্রায় ৭০% অঞ্চলকে “নো-গো জোন” ঘোষণা করেছে, যেখানে সাধারণ মানুষ যেতে পারে না। এর মানে হচ্ছে, তারা নিজের বাড়ি ফিরতে পারে না, নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পায় না, খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে না।
পশ্চিম তীরের অবস্থা:
পশ্চিম তীরেও দমন-পীড়ন চলছে। অনেক ফিলিস্তিনি, এমনকি শিশুরাও, অভিযোগ ছাড়াই গ্রেফতার হয়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি আছেন। বর্তমানে প্রায় ৩,৫০০ জন ফিলিস্তিনি এভাবে আটক আছেন।
সার্বিকভাবে:
এই পরিস্থিতি শুধু রাজনৈতিক বা সামরিক বিষয় নয়—এটি একটি মানবিক বিপর্যয়। শিশুরা খাবার পাচ্ছে না, অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না, বহু পরিবার তাদের প্রিয়জন হারাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ থাকলেও কার্যকর সহায়তা এখনো অপ্রতুল