বর্তমানে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী ৫০,৬০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ১৫ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন।
এই মানে দাঁড়ায়, গড়ে প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ জনের মতো মানুষ নিহত হচ্ছেন। তবে দিনভেদে এই সংখ্যা বাড়তেও পারে, যেমন:
শুধু ২০২৫ সালের ৪ এপ্রিলই, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৮৬ জন নিহত এবং ২৮৭ জন আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০টি শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে।
এটি শুধু সামরিক সংঘর্ষ নয়, বরং মানবিক বিপর্যয়। বহু মানুষ গৃহহীন, খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে ভুগছে। হাসপাতালগুলো ভেঙে পড়েছে, এবং সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছে না।
গাজা একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা—মাত্র ৪০ কিমি লম্বা এবং ১০ কিমি চওড়া। দীর্ঘদিন ধরে এটি অবরুদ্ধ, যার ফলে সীমিত পরিমাণ খাবার, পানি, জ্বালানি এবং ওষুধ প্রবেশ করতে পারে। যুদ্ধ শুরুর পর অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়েছে:
৮০%-এর বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত, তারা স্কুল, হাসপাতাল বা অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে।
খাবার ও পানি: অনেক এলাকায় নিরাপদ পানি পাওয়া যায় না। শিশুদের অপুষ্টি বাড়ছে।
বিদ্যুৎ নেই: গাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ, যার ফলে হাসপাতাল চালু রাখতে জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হয়, তাও আবার জ্বালানির সংকটে।চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে
গাজার বেশিরভাগ হাসপাতাল আংশিক বা পুরোপুরি অকার্যকর।
চিকিৎসকদের ঘুম বা বিশ্রামের সুযোগ নেই, পর্যাপ্ত ওষুধ নেই, এমনকি অস্ত্রোপচার করতে অনেক সময় অজ্ঞান করার ওষুধও থাকে না।
জাতিসংঘ বলেছে, কিছু হাসপাতালকে “যুদ্ধক্ষেত্রের মতো” মনে হয়।