শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর মিয়ানমারের ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সামরিক জান্তা। দেশটিতে শতাধিক প্রাণহানির শঙ্কা। এদিকে, ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভবন ধসে ৭০ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি
আগে থেকেই গৃহযুদ্ধে পর্যুদস্ত মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি অবস্থিত সাগাইং অঞ্চলটি গৃহযুদ্ধের একটি অন্যতম ক্ষেত্র।
এলাকাটি গণতন্ত্রপন্থি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর একটি শক্ত ঘাঁটি। ২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক সরকারকে উৎখাত করার জন্য তারা লড়াই করছে।
গৃহযুদ্ধ আনুমানিক সাড়ে তিন মিলিয়নেরও (৩৫ লাখ) বেশি লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত করেছে। খাদ্য সংকট সেখানে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ভূমিকম্পের আগে, জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল যে, দেশটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ লোকের প্রায় ২০ মিলিয়ন সাহায্যের প্রয়োজন হবে এ বছর। এখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হলো।
বিবিসির সাম্প্রতিক এক ডাটা প্রজেক্টে দেখা গেছে, সাগাইং এবং মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চলে লড়াইরত গোষ্ঠীগুলো বিচ্ছন্নিভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, যার ফলে ত্রাণ ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
ওই অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, দেশটির সেনাবাহিনী এখন কেবলমাত্র এক চতুর্থাংশেরও কম এলাকার নিয়ন্ত্রণ করছে।
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীও দেশটিকে বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। স্বাধীন গণমাধ্যম কার্যত নিষিদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর সাহায্য কার্যক্রম সীমিত।
আমেরিকার বৈদেশিক সাহায্য কমানো মিয়ানমারকেও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে।
ভূমিকম্পের পর রাজধানী নেপিডোর যেসব ছবি পাওয়া গেছে, সেগুলোয় রাস্তায় বড় আকারের ফাটল এবং ধসে পড়া ভবনের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।